Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়

উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ধানের আবাদ 
ও ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়
ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার
বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকার আয়তন প্রায় ৮.৫০ লক্ষ হে.। উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলসমূহ হলো : খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা; বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাটি জেলা; এবং চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা। এ সকল জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে লবণাক্ততা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের উজানে পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বা পাহাড়ি ঢল কম হলে কর্ণফুলী নদীসহ বিভিন্ন নদীতে স্বাদু পানির প্রবাহ কম হলে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়তে থাকে। বোরো ২০২২-২৩ মওসুমে চট্টগ্রামের অনেক উপজেলায় (পটিয়া, অনোয়ারা, বাঁশখালী ইত্যাদি) এপ্রিল মাসে লবণাক্ততার মাত্রা বেড়ে বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ লবণাক্ত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্প্রতি লবণাক্ত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকাভেদে পানি ও মাটির লবণাক্ততার পরিমাণ কমবেশি হয় তবে সাধারণত ৬-১৫ ডিএস/মি. হয়ে থাকে। উপকূলীয় অঞ্চলের কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা (২৫-৩০ সেমি.) থাকে। লবণাক্ত এলাকার ফলন অনুকূল পরিবেশের তুলনায় অনেক কম। লবণাক্ত এলাকার শস্য নিবিড়তা অনেক কম (৬০-১১৪%) যেখানে দেশের গড় শস্য নিবিড়তা ১৯৮%। এছাড়া সেচের পানির অভাবে বোরো মওসুমে উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক জমি পতিত থাকে।
লবণাক্ত অঞ্চলে ফসল আবাদে সীমাবদ্ধতাসমূহ
মৃত্তিকা ও পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা (ঝড়রষ ধহফ ঊহারৎড়হসবহঃধষ ঈড়হংঃৎধরহঃং)
উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততার কারণে ফসল আবাদ বিঘিœত হয়; লবণাক্ত অঞ্চলে স্বাদু পানির সংকট; সেচ ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতা; অধিকাংশ জমি অনুর্বর; জমিতে জৈব পদার্থের অপ্রতুলতা; লবণাক্ততার পাশাপাশি অনেক জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়; উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাদু পানির উৎস মাটির অনেক গভীরে (৮০০-১৫০০ মি.) থাকায় এবং সেচ পাম্পের অভাবে শুষ্ক মওসুমে (নভেম্বর-এপ্রিল) ফসল আবাদ ব্যাহত হয়।
আর্থসামাজিক সমস্যা 
শ্রমিকের অভাব এবং শ্রমিক মজুরি দেশের অনেক এলাকার তুলনায় বেশি; জমির মালিকের অনুপস্থিতি (অনংবহঃবব ষধহফ ড়হিবৎং); দুর্বল অবকাঠামো বা অবকাঠামোর অভাবে উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণ সমস্যা; উপকূলীয় অঞ্চলে অবাধে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদির অবাধ বিচরণের ফলে ফসল নষ্ট হয়;
প্রযুক্তিগত সমস্যা 
উন্নত প্রযুক্তির অভাব; উচ্চফলনশীল স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট লবণাক্ততা সহনশীল জাতের অভাব; গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অপ্রতুলতা।
লবণাক্ততার কারণসমূহ 
মাটিতে বা পানিতে অতিরিক্ত মাত্রার সোডিয়াম ক্লোরাইড (ঘধঈষ) বা ঘধ+ এর উপস্থিতির কারণে লবণাক্ততার সৃষ্টি হয়; সাধারণত জমিতে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করলেই লবণাক্ততার সৃষ্টি হয়। জমি থেকে অতিরিক্ত বাষ্পীভবন বা বাষ্পীয়-প্রস্বেদন হলে অনেক সময় জমিতে লবণাক্ততার সৃষ্টি হয়। আন্তঃপ্রবাহের কারণে অনেক সময় উপকূলীয় অঞ্চল হতে দূরের জমিতেও লবণাক্ততার সৃষ্টি হতে পারে (ওহষধহফ ঝধষরহরঃু); অপরিকল্পিতভাবে জমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষের কারণেও লবণাক্ততা সৃষ্টি হয়; একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা শস্যের জন্য ক্ষতিকর নয়; যেমন: রবি মৌসমে ২ ডিএস/মি পর্যন্ত মাটির এবং ১ ডিএস/মি পর্যন্ত পানির লবণাক্ততা ধান গাছ সহ্য করতে পারে।
লবণাক্ততা ধান গাছের কিভাবে ক্ষতি করে? 
লবণাক্ততার কারণে ধান গাছের প্লাজমোলাইসিস হয়। ফলে গাছের সেল স্যাপ বের হয়ে আসে। ফলে গাছ নেতিয়ে পড়ে; ওয়াটার টেনশন বেশি হয়, ফলে গাছ পানি গ্রহণ করতে পারে না; ঘধ+ গ্রহণ বেশি হয়, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়; লবণাক্ত মাটির পিএইচ বেশি (ঢ়ঐ>৮.৫) থাকে যা গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
লবণাক্ততার কারণে ক্ষতির লক্ষণ
ধান গাছের উপরের দিকের নতুন পাতা সাদাটে বিবর্ণ হয় এবং মুড়ে যায়; পুরাতন পাতায় বাদামি, হালকা হলদে বা সাদা-হলদের প্যাচ তৈরি হয়; লবণাক্ততার কারণে ধান গাছের বৃদ্ধি থেমে যায় বা অসমান হয়; গাছ খাটো হয়ে যায়; ধান গাছে কুশি কম হয়; ধান গাছের বৃদ্ধি অসম হয়; অনেক সময়ে লবণাক্ততার লক্ষণের সাথে ফসফরাস, জিংক ও আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা বা বোরণের আধিক্যের লক্ষণ মিলে যায়; লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি হলে ধান গাছ মারা যায়; লবণাক্ততার কারণে সম্পূর্ণ ধান ফসল নষ্ট যেতে পারে।
লবণাক্ততা সহনশীল ধানের জাত
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা সহনশীল স্থানীয় ধানের জাত রাজাশাইল, কাজলশাইল, পাটনাই, মরিচশাইল, লক্ষীশাইল ইত্যাদি স্থানীয় জাতের আবাদ হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পারমাণবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত লবণাক্ততা সহনশীল আধুনিক উচ্চফলনশীল ধানের জাত আমন মৌসুমের চাষকৃত জাত ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩, ব্রি ধান৭৩, ব্রি ধান৭৮ এবং বোরো মৌসুমে চাষকৃত জাত। ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৯৯, ব্রি ধান১০৯ ও ব্রি ধান১১০।
লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ধান আবাদে করণীয়:
জমিতে লবণাক্ততার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা নিতে হবে যা নিম্নরূপ:
জমিতে লবণ পানি ঢুকতে না দেয়া:
জমির চার পাশে বেড়িবাঁধ/আইল নির্মাণ করে, স্লুইসগেইট ব্যবস্থাপনা করে বা অন্য কোন উপায়ে নদী বা সাগর থেকে আবাদি জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
মাটি শুদ্ধকরণ (ঝড়রষ ঋষঁংযরহম): লবণাক্ত জমির অপেক্ষাকৃত উঁচু প্রান্ত হতে স্বাদু পানি ব্যবহার করে সেচ দিয়ে নিচু প্রান্ত লবণাক্ত পানি বের করে দিতে হবে। এছাড়া সেচ দিয়ে জমি ধৌত করে দেয়া যেতে পারে।
স্বাদু পানি দিয়ে জমি ধৌত করা (ঋরবষফ জরহংরহম): বোরো মওসুমে ধানের জমিতে ৩-৪ বার সেচ দেয়ার পর, এক পাশ থেকে স্বাদু পানি সেচ দিয়ে অন্য পাশ দিয়ে বের করে দিতে হবে;
লবণাক্ততা সহনশীল ধানের জাত আবাদ:
যেমন: বোরো মওসুমে ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান৯৯; বিনাধান-১০ এবং আমনে মওসুমে ব্রি ধান৫৪, ব্রি ধান৭৩ ও ব্রি ধান৭৮ আবাদ করা।
লবণাক্ত এলাকায় আগাম আবাদ করা:
উপকূলীয় অঞ্চলে বোরো মওসুমের শেষের দিকে অর্থাৎ মার্চ মাস থেকে জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেক্ষেত্রে লবণাক্ত অঞ্চলসমূহে বোরো ধানের আগাম আবাদ করে উক্ত লবণাক্ততা এড়ানো সম্ভব। বোরো মওসুমে নভেম্বর মাসে (০১-১৫) বীজ বপন করে ডিসেম্বর মাসে (১৬-৩০) চারা রোপণ করতে হবে। তাহলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির আগেই অর্থাৎ মার্চ মাসের শেষে বা এপ্রিল মাসে প্রথমে ধান কর্তন করে ঘরে তোলা যাবে। তবে, আগাম বোরো ধান আবাদের জন্য সকল মওসুমেই (আউশ, আমন ও বোরো) সঠিক সময়ে ধান আবাদ করতে হবে। যেমন: চট্টগ্রাম অঞ্চলে সকল মওসুমেই (আউশ, আমন ও বোরো) ধান আবাদে বিলম্ব করা হয়। বিশেষ করে বোরো মওসুমে বীজ বপন ও চারা রোপণে বিলম্ব হওয়ায় মার্চ মাসের শেষে বা এপ্রিল মাসে লবণাক্ততার কারণে ধানের ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়। 
ক্স জৈবসার প্রয়োগ : প্রতি বছর কমপক্ষে একবার জমিতে পর্যাপ্ত জৈবসার (৫ টন/হে. অথবা ৫০০-৮০০ কেজি/বিঘা) প্রয়োগ করতে হবে।
ক্স ছাই প্রয়োগ : প্রতি বিঘা জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে (৩০০-৪০০ কেজি/বিঘা) ছাই প্রয়োগ করা;
ক্স চারার বয়স: লবণাক্ত জমিতে একটু বেশি বয়সের (আমন মওসুমে ৩০-৩৫ দিন এবং বোরো মওসুমে ৪৫-৫০ দিন) চারা রোপণ করলে রোপণকৃত চারার ক্ষতি কম হয় এবং চারা সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। 
ক্স স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট জাত আবাদ: বোরো মওসুমে স্বল্প জীবনকাল (১৪০-১৫০ দিন) বিশিষ্ট ধানের জাত: ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৯৬, ও ব্রি হাইব্রিড ধান৮ আবাদ করা;
ক্স শস্য আবর্তন (ঈৎড়ঢ় জড়ঃধঃরড়হ)/শস্য বিন্যাস (ঈৎড়ঢ়ঢ়রহম চধঃঃবৎহ): লবণাক্ত জমিতে বছরের সব মওসুমে ধান আবাদ না করে ধানের পর সয়াবিন, সূর্যমুখী, তরমুজ, টমাটো, বাদাম, খেসারি, বার্লি, ধৈঞ্চা, ইত্যাদি আবাদ করা; 
ক্স সুষম সার প্রয়োগ : জমিতে সুষম মাত্রায় ইউরিয়া, টিএসপি/ডিএপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তা সার সার প্রয়োগ করা;
ক্স জিপসাম প্রয়োগ : প্রতি বিঘা জমিতে ১৫-২০ কেজি হারে জিপসাম প্রয়োগ করা যেতে পারে। জিপসাম প্রয়োগ করলে ক্যালসিয়াম আয়ন (ঈধ+) বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষতিকর সোডিয়াম আয়ন (ঘধ+) প্রতিস্থাপিত হবে। 
ক্স পটাশ ও জিপসাম সার উপরিপ্রয়োগ : শেষ কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-১০ কেজি হারে পটাশ ও জিপসাম সার প্রয়োগ; এ ক্ষেত্রে জমিতে ছিপছিপে (১-২ ইঞ্চি) পানি থাকতে হবে।
ক্স বৃষ্টির পানি মজুত রাখা : বর্ষা মওসুমে খাল বা পুকুরে বৃষ্টির পানি মজুদ রেখে রবি মওসুমে সেচে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্স ছোট পুকুর (গরহর চড়হফ) প্রযুক্তি : জমির এক কোনায় মোট জমির ৫-১০% এরিয়াতে ২-৩ মিটার গভীরতায় ছোট পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, ঐ পানি দিয়ে সেচ দেয়া যায়। এছাড়া ঐ পুকুরে মাছ চাষ করে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব। 
ক্স জলাধার নির্মাণ (ডধঃবৎ জবংবৎাড়রৎ) প্রযুক্তি : উপকূলীয় অঞ্চলে রবি মওসুমে মাঠের পর মাঠ পতিত থাকে। এসকল জমির চার পাশে খাল খনন/ জমির নিচুপাশে বড় পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা দিয়ে বোরো ধান আবাদ করা সম্ভব। বর্ষাকালে ঐ সকল জমিতে ধান ও মাছ একসাথে চাষ করা যায়। শুকনা মওসুমে খালে মাছ থাকবে, খালের পাড়ে সবজি চাষ এবং খালের পানি দিয়ে বোরো ধান আবাদ করা যাবে। উল্লেখ্য, খুলনা অঞ্চলে এ প্রযুক্তিতে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।  
ক্স জমির ফাটল বন্ধকরণ : জমিতে ফাটল তৈরি হতে দেয়া যাবে না। এজন্য ১-২টি জমি হতে ফসল তোলার পর ১-২টা চাষ দিয়ে রাখতে হবে;
ক্স জমি সমান রাখা : জমিতে চাষের পর মই দিয়ে ভালোভাবে সমান করতে হবে। এছাড়া শুকনা মওসুমে লেজার লেবেলার দিয়ে জমি সমান করা যেতে পারে।
ক্স মালচিং : জমিতে কচুরিপানা বা খড় দিয়ে মালচিং করা; 
ক্স আচ্ছাদন ফসল (ঈড়াবৎ ঈৎড়ঢ়) চাষ : লবণাক্ত এলাকায় জমি পতিত না রেখে আচ্ছাদন ফসল যেমন- খেসারি/ফেলন/গো-মটর (ঈড়ঢ়িবধ) ইত্যাদি আবাদ করা যেতে পারে; 
ক্স সাথী ফসল (জবষধু ঈৎড়ঢ়ঢ়রহম) : আমন ধান কর্তনের ১০-১৫ দিন পূর্বে ধানক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে খেসারি/ফ্যালন এর বীজ বপন চাষ করা;
ক্স ধৈঞ্চা মেশানো : বোরো ধান কাটার পর বা কাটার ১০ দিন আগে জমিতে আফ্রিকান ধৈঞ্চার বীজ ছিটিয়ে দিয়ে ঐ গাছ ৫-৬ ফুট লম্বা হওয়ার পর আষাঢ় মাসে চাষ দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে;
ক্স মাটির স্তর ভেঙ্গে দেয়া: ফসলের জমিতে মাটির উপরের স্তর ভেঙ্গে দেয়া এবং ফসল না থাকা জমিতে চাষ দিয়ে রাখা;
ক্স ম্যাজিক সল্যুশন স্প্রে : কুশি গজানো থেকে কাইচ থোড় অবস্থায় ধানক্ষেতে ৬০ গ্রাম পটাশ, ৬০ গ্রাম থিয়োভিট/কুমুলাস পাউডার ২০ গ্রাম দস্তা সার একত্রে ১০ (দশ) লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ (পাঁচ) শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।
ক্স সেচ প্রকল্প কার্যকরী করা : চট্টগ্রাম অঞ্চলে মেঘনা-ধনগোদা ও মুহুরীসহ অনেক সেচ প্রকল্প আছে যেগুলোর পানি সম্পূর্ণ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কৃষি ও সেচ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করে সেচের ব্যবস্থা করে বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ধানের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির জন্য মওসুম অনুযায়ী সঠিক সময়ে ধানের আবাদ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বোরো মওসুমে আগাম (১-১৫ নভেম্বর) ধান আবাদ করলে জমিতে বিদ্যমান পানি ব্যবহার করা যায়, সেক্ষেত্রে  সেচ খরচ কমে যায় এবং আগাম ধান কর্তনের মাধ্যমে মওসুমে শেষের দিকে লবণাক্ততা ও ঝড়-বৃষ্টি এড়ানো সম্ভব হবে। খুলনা অঞ্চলের  উপকূলীয় কৃষকগণ আগাম বোরো ধান আবাদ করেন যা চট্টগ্রাম অঞ্চলেও প্রযোজ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষকদেরকে খুলনায় নিয়ে সরেজমিন আবাদ দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ কিছুটা প্রত্যন্ত হওয়ায় গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে কম। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করতে হবে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ ও কৃষককে উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি, জলবায়ু, শস্যবিন্যাস, বিদ্যমান উন্নত ও স্থানীয় প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ সকল অঞ্চলকে আবাদের আওতায় এনে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা সম্ভব। 
 
তথ্য সূত্র : 
ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২২, আধুনিক ধানের চাষ, ২৪ তম সংস্করণ, অক্টোবর ২০২২
বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২২, উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি পরিচিতি; ৮ম সংস্করণ, জুন ২০২২ খ্রি. 
 
লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, সোনাগাজী, ফেনী মোবাইল: ০১৭১৫ ১৮১৬০৯, ই-মেইল: নরংধিলরঃনৎৎর@মসধরষ.পড়স 

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon